কুরআন আরবী ভাষায় লিখিত। তাই কুরআন পড়ার সময় আমরা ভাষাগত সমস্যার সম্মুখীন হই। এ সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের আরবী বর্ণমালা, আরবী স্বরচিহ্ন, আরবী স্বরধ্বনি ও আরবী বর্ণের উচ্চারণ রীতি সম্বন্ধে জানতে হবে। কিন্তু তাই বলে কুরআন পড়াকে কখনো কঠিন ভাববেন না, বরং সহজ ভাববেন। পৃথিবীর সবচেয়ে সহজ গ্রন্থহচ্ছে কুরআন! আল্লাহ তায়ালা কুরআন মাজীদে চারবার বলেছেন ‘কুরআন সহজ’, “আর সহজ করেছি কুরআনকে উপদেশার্থে, কে আছে তা গ্রহণের ?” সূরা আল কামার ২২ । ‘সহজ উপায়ে কুরআন’ পড়ার জন্য এই বইয়ে আমি ৮টি ধাপ আলোচনা করেছি। বেহেস্তের ৮টি দরজা, তাই ৮টি ধাপ নির্ধারণ করেছি। এই ধাপগুলো অনুসরণ করে যে কেউ দ্রুত কুরআন পড়তে পারবেন ইনশা’আল্লাহ।
ধাপগুলো হলোঃ
প্রথম ধাপ : আরবী বর্ণমালা ও উচ্চারণ সম্বন্ধে জানা,
দ্বিতীয় ধাপ : আরবী বণের্র সংযুক্ত রূপ জানা,
তৃতীয় ধাপ : আরবী স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জন বর্ণ ও কারচিহ্ন / স্বরচিহ্ন জানা,
চতুর্থ ধাপ: আরবী স্বরধ্বনি সাকিন, তাশদীদ ও তানবীন সম্বন্ধে জানা,
পঞ্চম ধাপ : আরবী বর্ণের উচ্চারণ রীতি সম্বন্ধে জানা,
ষষ্ঠ ধাপ : মাদ বা দীর্ঘ করে পড়ার নিয়ম,
সপ্তম ধাপ : গুন্নাহ এবং নুন ও মীম সাকিন পড়ার নিয়ম,
অষ্টম ধাপ : বাক্য শেষ করার নিয়ম এবং বিরাম চিহ্ন সম্বন্ধে জানা।
যে কোনো ভাষা পড়ার জন্য প্রথমে সে ভাষার বর্ণগুলো চেনা এবং সেগুলোর সঠিক উচ্চারণ জানা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। শায়খ সাইফুদ্দিন বেলাল মাদানী বলেন ১০০% বিশুদ্ধ করে কুরআন পড়ার জন্য আরবী স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণ, জানতে পারলে ৮০% জ্ঞান অর্জন হয়ে যায়, আর অনুশীলনের মাধ্যমে বাকি ২০% জ্ঞান অর্জন করতে হয়। আমার এই বইয়ের ৮টি ধাপ এর মধ্যে প্রথম ৪টি ধাপ জানতে পারলে বিশুদ্ধভাবে কুরআন পড়ার জন্য সেই ৮০% জ্ঞান অর্জিত হয়ে যাবে ইনশা’আল্লাহ এবং শেষের ৪টি ধাপ (ব্যাকরণ) জানতে পারলে পূর্ণ হবে বাকি ২০%। তাই প্রিয় পাঠক-পাঠিকা, আপনারা প্রথমে আমার এই বইয়ের প্রথম ৪টি ধাপ ভালোভাবে চর্চা করবেন, তারপর শেষের ৪টি ধাপ, কারণ বর্ণ পরিচয় ও উচ্চারণ শেখার প্রথম ৮০% জ্ঞান ভালোভাবে শেখার পরই ব্যাকরণ চর্চা করা দরকার। আশা করি, এই বইটি পড়ে পাঠক/পাঠিকাগণ সহজভাবে কুরআন পড়া শিখতে ও অন্যকে শিখাতে পারবেন ইনশা’আল্লাহ।
Reviews
There are no reviews yet.